ঘুমধুম সীমান্তে কথিত দোকান কর্মচারীর সুরম্য অট্টালিকা!অর্থের উৎস নিয়ে নানা প্রশ্ন?

শ.ম গফুর, উখিয়া :

উখিয়ার পার্শবতী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে এক সময়ের দোকান কর্মচারীর হটাৎ বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে।কথিত আছে ইয়াবা ব্যবসার বদৌলতে তাঁর কপাল ফিরেছে।

বৈধ ভাবে দোকানে চাকরী,ধার দেনায় উখিয়া বাজারে দোকান খুলে আর্থিক ভাবে মার খেয়ে নিজ এলাকা থেকে লাপাত্তা হওয়া যুবক কেমনে বছর দু’য়েকের মাথায় সুরম্য অট্রালিকা নির্মাণ,কক্সবাজারে পর্যটন জোনে তারকা মানের হোটেল ব্যবসা,নিজের ঘুমধুম এলাকায় ঔষধের দোকান এসবের আয়ের উৎস নিয়ে লোকমুখে নানা কথা বার্তা উড়ছে।সব প্রশ্নের উত্তর ইয়াবা কারবার।

আর ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত জয়নাল ঘুমধুমের মধ্য-পূর্ব পাড়ার মৃত জাফর আলমের পুত্র।বিগত কয়েক বছর পূর্বে তাঁর

বাবা জাফর আলমের মৃত্যুর পর নুন আনতে পান্তা পুরোই অবস্থা সংসারে! সংসারের ঘানি টানতে দেশের বিভিন্ন স্থানে দোকানপাটের কর্মচারী হিসেবে মাত্র দুই হাজার টাকা বেতন দিয়ে কোন রকমেই সংসারের ঘানি টানেন।

এই দোকান কর্মচারী কিভাবে হটাৎ এত সম্পদের মালিক হল? এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের।জয়নাল-জমির দুইভাই মিলে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পাচার করতে থাকেন ইয়াবার চালান।আর ইয়াবার চালান নির্বিঘ্নে পাচার করতে

উখিয়ার কথিত কয়েকজন সাংবাদিককে ভাগে নেন। ওইসব সাংবাদিক তাদের পক্ষ হয়ে মাঝে-মধ্যে অনলাইনে সাফাই নিউজ করেন।এভাবে জয়নাল-জমিরের ইয়াবার উত্থান।ইয়াবায় তাদের সফলতা এনে দেয়।

জয়নাল কক্সবাজার ও উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে চাকরীর সুবাধে পেশাদার ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে কক্সবাজারে “ওয়ার্ল্ড বীচ রিসোর্ট” নামে হোটেল ব্যবসায় সম্পৃক্ত হয়ে ইয়াবার বড়-বড় চালান ঘুমধুম সীমান্ত থেকে ছোট ভাই এনজিওকর্মী জয়নালের মাধ্যমে কক্সবাজারে পৌছায় বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে।জয়নাল-জমিরের ইয়াবা কারবার ঘুমধুম টু কক্সবাজার হোটেল কেন্দ্রিক আলাদা সিন্ডিকেট গড়ে উঠে।নিরবে ইয়াবা কারবার করে স্বল্প সময়েই কোটি টাকা ব্যয়ে দালান বাড়ি নির্মাণ,বেতবুনিয়া বাজারে ঔষধের দোকান খুলে।

কক্সবাজারে ওয়ার্ল্ড বীচ রিসোর্ট নামক হোটেল ব্যবসার পাশাপাশি ইয়াবার চালান নিরাপদে পৌছিয়ে বিকিকিনি করছে।ঘুমধুম সীমান্তের জয়নাল-জমির (দুইভাই)কোটি টাকার সুরম্য অট্রালিকা নির্মাণ করছে, আর কক্সবাজারের মত শহরে বিলাশ বহুল হোটেল ব্যবসা পরিচালনা করছে।এদের আয়ের উৎস কোথায়?সরকারকে আয়কর দিয়েছে কিনা? তা নিয়ে লোকমুখে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।একজন দোকান কর্মচারী, আরেকজন নামধারী এনজিওকর্মী কিভাবে এত বিপুল বিত্ত বৈভবের মালিক বনে গেল তাঁর সঠিক উত্তর কেউ দিতে পারছেনা।

পারিবারিক আর্থিক দৈন্যদশায় ভোগা জয়নাল ধারদেনায় জর্জরিত হয়ে নিজ এলাকা থেকে লাপাত্তা হয়ে গিয়েছিল গত কয়েক বছর আগে।দরিদ্র দোকান কর্মচারী জয়নালদের পারিবারিক ভিটি এবং জরাজীর্ণ বাড়ি ছাড়া কোন সম্পদ ছিল না।বাবা জাফর আলম ছিল মাটি কাটার শ্রমিক। বাবা মারা যাওয়ার সময় ধারদেনায় ছিল জয়নালরা।

হঠাৎ কিভাবে এত বিপুল সম্পদের মালিক বনে গেল তাঁর সদোত্তর নেই।সরকারের সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের খতিয়ে দেখা জরুরী।

ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) ইমন চৌধুরীর নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন ঘুমধুম পুলিশ অবগত হয়েছে।খতিয়ে দেখতে গোপন তদন্ত এবং সোর্স দেওয়া হয়েছে।